(ইসলাম গ্রহণ করার কারণে 'হিরা'কে জীবিত অবস্থায় আগুনে জ্বালিয়ে দেয়া হয়। তারই চাচা) জনাব আব্দুল্লাহ ভাই-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষাৎকার পর্ব-২

(ইসলাম গ্রহণ করার কারণে ‘হিরা’কে জীবিত অবস্থায় আগুনে জ্বালিয়ে দেয়া হয়। তারই চাচা) জনাব আব্দুল্লাহ ভাই-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষাৎকার পর্ব-১

(ইসলাম গ্রহণ করার কারণে ‘হিরা’কে জীবিত অবস্থায় আগুনে জ্বালিয়ে দেয়া হয়। তারই চাচা জনাব) আব্দুল্লাহ ভাই-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষাৎকার পর্ব-১

শুধু ইসলাম কবুল করার অপরাধে আমি আপন ভাতিজী ‘হিরা’কে জীবন্ত আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছিলাম। জ্বলন্ত আগুনের গুহা থেকে সে আকাশের দিকে, হাত তুলে চিৎকার করে বলছিল, ‘ও আমার আল্লাহ। আপনি আমাকে এই অগ্নিদগ্ধ হিরাকে দেখছেন তো। হে আল্লাহ। আপনি আমাকে; আপনার হিরাকে ভালোবাসেন তো। আপনি তো হেরা গুহাকে ভালোবাসেন, আর অগ্নিগুহায় পড়ে থাকা এই হিরাকেও ভালোবাসেন। তাই না। তবে আমার কোন দুঃখ নেই। আপনার ভালোবাসার পর আমার আর কিছু চাওয়ার নেই। আর কিছুর প্রয়োজন নেই।

পরিচয়:

আমি যদি বলি যে, পৃথিবীর সূচনালগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত দুনিয়ার বুকে সবচাইতে অত্যাচারী ও পাপাচারী, নিকৃষ্ট বরং হিংস্র প্রাণী এবং সৌভাগ্যবান মানুষ। তাহলে এটা হবে আমার প্রকৃত পরিচয়।

মুজাফফরনগর জেলার বুরহানা থানার (উত্তর প্রদেশ, ভারত) এক মুসলিম রাজপুত সংখ্যাগরিষ্ঠ গ্রামের এক গোয়ালার ঘরে মোটামুটি ৪২-৪৩ বছর পূর্বে জন্মগ্রহণ করি। আমার খান্দান ছিল ধার্মিক হিন্দু এবং পেশা ছিল অপরাধ প্রবণতা। আমার পিতা ও চাচা একটি দলের নেতা ছিলেন। বংশগতভাবে লুটপাট, নির্যাতন নিপীড়ন, জুলুম-অত্যাচার আমাদের রক্তের সাথে মিশে ছিলো।

১৯৮৭ ইং সনে মিরাটে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সময় উপস্থিত ছিলাম। সে সময় আমার পিতার সাথে আত্মীয়-স্বজনদের সাহায্য করি এবং আমরা দু’জন কমপক্ষে ২৫ জন মুসলমানকে নিজ হাতে হত্যা করি। অতঃপর মুসলিম বিষন্নতার আবেগে প্রভাবিত হয়ে ‘বজরং’ দলে যোগদান করি। ১৯৯০ ইং সনে বাবরী মসজিদ শাহাদতকে ইস্যু বানিয়ে শামেলিতে অনেক মুসলমানকে শহীদ করি।

১৯৯২ ইং বুরহানায় অসংখ্য মুসলমানকে শহীদ করি। এলাকার প্রসিদ্ধ এক বদমাশ, কিন্তু নিষ্ঠাবান মুসলমান ছিল। তাকে দেখে পুরো এলাকার অমুসলিমরা থর থর করে কাঁপতো। আমি আমার বন্ধুকে সাথে নিয়ে তাকে গুলি করে দুনিয়া থেকে চিরতরে বিদায় করে দিই। এই মুসলিম বিদ্বেষের কারণে এই হিংস্র পশু এমন স্বেচ্ছাচারিতাও করেছে, মনে হয় এধরনের বর্বরতা ও স্বেচ্ছাচারিতার কথা আকাশের নিচে যমিনের উপর না কেউ শুনেছে না দেখেছে। না ধারণাও করতে পেরেছে।

কুরআন শরীফে ৩০ নং পারায় সূরা বুরূজ নামে একটি সূরা আছে। তার মধ্যে অগ্নিকুণ্ডের অধিবাসীদের ব্যাপারে আল্লাহ তা’আলা বলেছেন যে, ‘অভিশপ্ত হয়েছে গর্ত ওয়ালারা অর্থাৎ অনেক ইন্ধনের অগ্নিসংযোগকারীরা।’ (সূরা আল বুরূজ ৪-৫) এই সূরাটি মনে হয় আমার জন্যই অবতীর্ণ হয়েছে। ব্যাস, এতটুকুই যে, তারা আগুনের অধিবাসী এটাই বলা হয়েছে বলুন তো আরবিতে আয়াতটি কী?

قبل أصحب الألحدود النار ذات الوقود ‘অভিশপ্ত হয়েছে গর্তওয়ালারা অর্থাৎ, অনেক ইন্ধনের অগ্নিসংযোগকারীরা।’

সূরা আল বুরূজ ৪-৫ উত্তর, যদি বলা হয়, দয়া করা হয়েছে আগুনের অধিবাসীদের উপর, তাহলে এর আরবি কী হবে?

رحم أصحب الأحدود

যদি আমার ব্যাপারে কোন আয়াত অবতীর্ণ হতো, তাহলে এমনই رحِمَ أَصْحَبُ الأَحَدُودِ

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *