একটি নওমুসলিম পরিবারের গল্পঃ
বেশিদিন আগের কথা নয় ৫ সদস্য বিশিষ্ট পরিবারের সদস্য মা, বাবা, দুই ভাই ও বড় ভাইয়ের স্ত্রী সকলেই ছিলেন সাঁওতাল। এদের মধ্যে মা প্রথম কালেমা পড়েছিলেন, তার কয়েকমাস পরেই কালেমা পড়েন তার স্বামী। এরপর কালেমা পড়েন বড় ছেলে।
তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা তেমন সচ্ছল নয়। দিন মজুরির মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করেন। পরিবারটিকে বাড়তি আয়েক সুযোগ করে দিতে নওমুসলিম কল্যাণ ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে দুইটি ছাগল কিনে দেয়া হয়। এর কিছুদিন পর বড় ছেলের স্ত্রীর এপেন্ডিস্ক ধরা পড়ে। আমাদের দ্বীনি ভাইয়েরা অপারেশনের অর্থ জোগাড় সহ বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা করেন।
আলহামদুলিল্লাহ! এরপর বড় ছেলের স্ত্রীও কালেমা পড়েন। ছোট ছেলে তখনও কালেমা পড়েননি। প্রায় দুই মাস আগে তার মা যখন ইসলাম ধর্মের দাওয়াত দেয় তখন সেও কালেমা পড়তে রাজি হয়ে যায়। কিছুদিন আগে মিরপুর-১২ তে একটি হাসপাতাল থেকে খৎনা করিয়েছেন আমাদের তত্ত্বাবধানে।
কালেমা পড়ার আগেই ছোট ছেলেকে বিয়ের জন্য পাত্রী দেখানো হয়েছিলো। কিন্তু মেয়ের পরিবার যখন জানতে পারে, ছেলের পরিবার মুসলিম হওয়ার চিন্তা ভাবনা করছে তখন তারা এই প্রস্তাব নাকচ করে দেয়। কিন্তু তাদের হয়তো জানা ছিলনা আল্লাহ তায়ালা উত্তম পরিকল্পনাকারী। এর বেশ কিছুদিন পর মেয়েটি ছেলেটির সাথে যোগাযোগ করে মুসলিম হওয়ার ইচ্ছে পোষণ করে। গত ১৩ দিন আগে মেয়েটি কালেমা পড়ে ছোট ছেলের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।
পরিবারের সকল সদস্যই নওমুসলিম। আলহামদুলিল্লাহ!