গল্পটি আপনাকে কাঁদাবেই পর্ব-১২
আমাকে তাবলীগের কিছু ভাই দাওয়াত দিয়েছিল। আমাকে তারা গীতা থেকে এমন এমন জিনিস বের করে দেখিয়েছিল যা দেখে আমি বললাম পড়ালেখা পরে, আগে ধর্ম নিয়ে জানবো। তাছাড়া আমার বাসার নিচে একটা মাদ্রাসা ছিল সেখানকার হুজুরের কাছে ইসলাম গ্রহণ করি।
আমি বললাম, আমি যখন ইসলাম গ্রহণ করতে যাই সবাই শুধু এফিডেভিট খুঁজছিল। এফিডেভিট ছাড়া কেউ আমাকে শাহাদাত পড়াতে রাজি হচ্ছিল না। তারপর গোপনে গোপনে ইসলাম পালন করা শুরু করলাম।
ভাই বললো, এইটা আসলে আপনি ভুল করেছেন। আমি তো বয়সের জন্য এফিডেবিট করতে পারি নাই কিন্তু আপনি বয়স হওয়া সত্ত্বেও এফিডেভিট করেন নাই। যখন উনি এই কথা শুনলেন যে আমার বয়স হওয়ার পরও এফিডেবিট করি নাই তখন উনি অনেক রাগ করলেন। আপনি যদি এফিডেবিট করে ফেলতেন তাহলে কারও বাপের সাধ্য আইনিভাবে আপনার কোন প্রকার ক্ষতি করবে।
তারপর তাকে আমার সব ঘটনা বললাম আমাকে কীভাবে এখানে নিয়ে এসেছে। তারপর ভাই বললো, এখানে আমাদের মা-বাবার কোনো ভুল নাই আসলে, তারা সেটাই করেছে যেটা তাদের বুঝানো হয়েছে, আপনার ছেলেও যদি এমন করতো আপনিও হয়তো ঠিক একই কাজ করতেন।
আমাকে ****(জেলার নাম)**** থেকে নিয়ে এসেছে। এখানে কখনও নিয়ে আসতে পারতো না যদি আমি না চাইতাম। আমি যখন বাসায় ইসলাম গ্রহণ এর ব্যাপারটা জানাই আমার আব্বু লাঠি না ভাঙ্গা পর্যন্ত আমাকে মেরেছে। তারপর বাসা থেকে বের করে দেয়।
তারপর আমার বন্ধুরা আমার থাকার ব্যবস্থা করে দেয়। রিজিকের জন্য আমি কখনও চিন্তা করি নাই। রিজিক আল্লাহর হাতে। তারপর একদিন নামাজ পরে বের হচ্ছি, মামা এসে আমাকে বলে, “আমার সাথে চল, তোর সব প্রশ্নের জবাব তোকে আমি দিব। যদি দিতে না পারি যেখান থেকে নিয়ে যাচ্ছি সেখানেই রেখে যাবো। আমার বন্ধুরা আমাকে না করেছিল, কিন্তু তবুও আমি মামার সাথে গেলাম এই শর্তে যে, আমার প্রশ্নের জবাব যদি না দিতে পারে তাহলে এই মসজিদেই এসে রেখে যাবেন।
তারপর গেলাম মামার সাথে। এই নিয়ে পাঁচজনের কাছে গেলাম কিন্তু তাদের মধ্যে কেউ আমার সাথে ডিবেটে পারে নাই। প্রথমে এক পন্ডিতের কাছে গেলাম সে তো আমার কথা শুনেই আমার উপর গরম! আমাকে গালাগালি করে তাড়িয়ে দিল, তারপর এক ইসকনের কাছে গেলাম তাদের যুক্তি শুনে আমি এতো হাসলাম যে এরা তো কিছুই জানে না, তাদের নির্ধারিত কিছু প্রশ্ন আছে তারা সেগুলোই রিপিট করবে। এর বাইরে কোনো প্রশ্নের উত্তর তারা দিতে পারে না।
তারপর চট্টগ্রাম ইউনিভার্সিটির এক প্রফেসরের কাছে গেলাম। সেখানে উনিও আমার সাথে ডিবেটে না পেরে আমাকে কুকুরের বাচ্চা ইত্যাদি গালাগালি করে বের করে দেয়। তার বাসায় বেদ, বাইবেল, উপনিষদ সব সুন্দর ভাবে সাজানো কিন্তু কুরআন মাটিতে ফেলে রাখছে। তারা ইসলামের জিহাদ নিয়ে নেগেটিভ ধারণা লালন করে।
তারপর আমাকে এখানে আনলো। এখানে সাধুর সাথে আমার বেশিক্ষণ ডিবেট করা লাগে নাই। কারণ সে নিজের ধর্ম নিয়েই কিছু জানে না। আর ইসলাম নিয়ে কিভাবে জানবে? যাদের সাথে ডিবেট করেছি তাদের মধ্যে এই সাধু সবচাইতে বেশি গাধা। তারপর ডিবেটে না পেরে সাধু আমাকে বলে আমার শেষ সিদ্ধান্ত কি?
আমি বললাম আপনারা কেউ আমার কথার কোন জবাব দিতে পারেন নাই। তাই আমাকে যেখান থেকে নিয়ে এসেছেন সেখানে রেখে আসেন। তারপর সাধু বললো আচ্ছা তুমি এখন বিশ্রাম করো তোমার সাথে সকালে কথা হবে। আমার আব্বু সাধুকে পাঁচ হাজার টাকা দেয় আমার সামনেই। তখনই বুঝে গিয়েছিলাম কোনো ঝামেলা আছে।
সকালে উঠে দেখি মামারা আমাকে ফেলে চলে যাচ্ছে। আমি তাদের পিছু পিছু গেলে আমার আব্বু আমার পেটে একটা লাথি মারে। তারপর সাধুর ছেলেগুলা আমাকে ধরে নিয়ে আসে আর ওরা মনে করছিলো আমি পালানোর চেষ্টা করছি। তারপর সাধু গাছের ডাল ভেঙে সেটা দিয়ে আমাকে মারা শুরু করে। আমাকে মারতে মারতে সাধু দুইটা লাঠি ভাঙ্গে।
হ্ঠাৎ ভাই বলে উঠলেন, ভাই আপনি কার মাধ্যমে ইসলামের দাওয়াত পেলেন? আমি বললাম এমনিতে অনেকের কাছ থেকেই দাওয়াত পেয়েছি। ফ্রেন্ড, বাসার টিচার। আপনি কার মাধ্যমে দাওয়াত পেয়েছেন?
আমাকে তাবলীগের কিছু ভাই দাওয়াত দিয়েছিল। আমাকে তারা গীতা থেকে এমন এমন জিনিস বের করে দেখিয়েছিল যা দেখে আমি বললাম পড়ালেখা পরে, আগে ধর্ম নিয়ে জানবো। তাছাড়া আমার বাসার নিচে একটা মাদ্রাসা ছিল সেখানকার হুজুরের কাছে ইসলাম গ্রহণ করি।
আমি বললাম, আমি যখন ইসলাম গ্রহণ করতে যাই সবাই শুধু এফিডেভিট খুঁজছিল। এফিডেভিট ছাড়া কেউ আমাকে শাহাদাত পড়াতে রাজি হচ্ছিল না। তারপর গোপনে গোপনে ইসলাম পালন করা শুরু করলাম।
ভাই বললো, এইটা আসলে আপনি ভুল করেছেন। আমি তো বয়সের জন্য এফিডেবিট করতে পারি নাই কিন্তু আপনি বয়স হওয়া সত্ত্বেও এফিডেভিট করেন নাই। যখন উনি এই কথা শুনলেন যে আমার বয়স হওয়ার পরও এফিডেবিট করি নাই তখন উনি অনেক রাগ করলেন। আপনি যদি এফিডেবিট করে ফেলতেন তাহলে কারও বাপের সাধ্য আইনিভাবে আপনার কোন প্রকার ক্ষতি করবে।
তারপর তাকে আমার সব ঘটনা বললাম আমাকে কীভাবে এখানে নিয়ে এসেছে। তারপর ভাই বললো, এখানে আমাদের মা-বাবার কোনো ভুল নাই আসলে, তারা সেটাই করেছে যেটা তাদের বুঝানো হয়েছে, আপনার ছেলেও যদি এমন করতো আপনিও হয়তো ঠিক একই কাজ করতেন।
আমাকে ****(জেলার নাম)**** থেকে নিয়ে এসেছে। এখানে কখনও নিয়ে আসতে পারতো না যদি আমি না চাইতাম। আমি যখন বাসায় ইসলাম গ্রহণ এর ব্যাপারটা জানাই আমার আব্বু লাঠি না ভাঙ্গা পর্যন্ত আমাকে মেরেছে। তারপর বাসা থেকে বের করে দেয়।
তারপর আমার বন্ধুরা আমার থাকার ব্যবস্থা করে দেয়। রিজিকের জন্য আমি কখনও চিন্তা করি নাই। রিজিক আল্লাহর হাতে। তারপর একদিন নামাজ পরে বের হচ্ছি, মামা এসে আমাকে বলে, “আমার সাথে চল, তোর সব প্রশ্নের জবাব তোকে আমি দিব। যদি দিতে না পারি যেখান থেকে নিয়ে যাচ্ছি সেখানেই রেখে যাবো। আমার বন্ধুরা আমাকে না করেছিল, কিন্তু তবুও আমি মামার সাথে গেলাম এই শর্তে যে, আমার প্রশ্নের জবাব যদি না দিতে পারে তাহলে এই মসজিদেই এসে রেখে যাবেন।
তারপর গেলাম মামার সাথে। এই নিয়ে পাঁচজনের কাছে গেলাম কিন্তু তাদের মধ্যে কেউ আমার সাথে ডিবেটে পারে নাই। প্রথমে এক পন্ডিতের কাছে গেলাম সে তো আমার কথা শুনেই আমার উপর গরম! আমাকে গালাগালি করে তাড়িয়ে দিল, তারপর এক ইসকনের কাছে গেলাম তাদের যুক্তি শুনে আমি এতো হাসলাম যে এরা তো কিছুই জানে না, তাদের নির্ধারিত কিছু প্রশ্ন আছে তারা সেগুলোই রিপিট করবে। এর বাইরে কোনো প্রশ্নের উত্তর তারা দিতে পারে না।
তারপর চট্টগ্রাম ইউনিভার্সিটির এক প্রফেসরের কাছে গেলাম। সেখানে উনিও আমার সাথে ডিবেটে না পেরে আমাকে কুকুরের বাচ্চা ইত্যাদি গালাগালি করে বের করে দেয়। তার বাসায় বেদ, বাইবেল, উপনিষদ সব সুন্দর ভাবে সাজানো কিন্তু কুরআন মাটিতে ফেলে রাখছে। তারা ইসলামের জিহাদ নিয়ে নেগেটিভ ধারণা লালন করে।
তারপর আমাকে এখানে আনলো। এখানে সাধুর সাথে আমার বেশিক্ষণ ডিবেট করা লাগে নাই। কারণ সে নিজের ধর্ম নিয়েই কিছু জানে না। আর ইসলাম নিয়ে কিভাবে জানবে? যাদের সাথে ডিবেট করেছি তাদের মধ্যে এই সাধু সবচাইতে বেশি গাধা। তারপর ডিবেটে না পেরে সাধু আমাকে বলে আমার শেষ সিদ্ধান্ত কি?
আমি বললাম আপনারা কেউ আমার কথার কোন জবাব দিতে পারেন নাই। তাই আমাকে যেখান থেকে নিয়ে এসেছেন সেখানে রেখে আসেন। তারপর সাধু বললো আচ্ছা তুমি এখন বিশ্রাম করো তোমার সাথে সকালে কথা হবে। আমার আব্বু সাধুকে পাঁচ হাজার টাকা দেয় আমার সামনেই। তখনই বুঝে গিয়েছিলাম কোনো ঝামেলা আছে।
সকালে উঠে দেখি মামারা আমাকে ফেলে চলে যাচ্ছে। আমি তাদের পিছু পিছু গেলে আমার আব্বু আমার পেটে একটা লাথি মারে। তারপর সাধুর ছেলেগুলা আমাকে ধরে নিয়ে আসে আর ওরা মনে করছিলো আমি পালানোর চেষ্টা করছি। তারপর সাধু গাছের ডাল ভেঙে সেটা দিয়ে আমাকে মারা শুরু করে। আমাকে মারতে মারতে সাধু দুইটা লাঠি ভাঙ্গে।