আব্দুর রহিম গ্রীনের ইসলামে ফেরার গল্প (পর্ব-২)
আব্দুর রহিম গ্রীনের ইসলামে ফেরার গল্প
উত্তরটি গ্রীনের নিকট অত্যন্ত হাস্যকর মনে হলো। আমাদের মতোই একজন দোষগুন সম্পন্ন মানুষ আমাদের হয়ে ক্ষমা চাইলে ক্ষমা করবেন অথচ আমরা চাইলে করবেন না! ঈশ্বরের এতটা পক্ষপাতদুষ্ট হবার কথা না। এভাবেই খ্রিস্টান ধর্ম নিয়ে নানা রকম সংশয় তৈরি হল গ্রীনের মধ্যে। আরও একদিন একটা ঘটনা ঘটলো। ধর্ম নিয়ে আলোচনা করছিলেন মিশরের এক ব্যক্তির সাথে। মিশরিয়ান তাকে জিজ্ঞেস করলেন,
– তুমি কি বিশ্বাস করো যীশু খ্রিস্ট ঈশ্বর ছিলেন?
– হাঁ, অবশ্যই।
– তার মানে তুমি এও বিশ্বাস করো যীশু খ্রিস্ট ক্রুশে জীবন দিয়েছেন?
– নিঃসন্দেহে।
– অর্থাৎ তুমি তাহলে এটাও বিশ্বাস করো তোমার ঈশ্বর মারা গেছেন?
মিশরিয়ানের এই প্রশ্নে গ্রীন কোনো জবাব দিতে পারলেন না। একজন ঈশ্বর কিভাবে মারা যাবেন? তার মনে সংশয় আরও বাড়তে লাগলো। সত্যি কি খ্রিস্টান সত্য ধর্ম? এবার তিনি নিজেই নেমে পড়লেন ধর্ম নিয়ে গবেষণায়। এক সময় খোঁজ পেলেন মুসলমানদের কুরআনের। তার কাছে ধারণা ছিল সৌদি আরবের মুসলিমরা উটের পিঠে ঘুরে বেড়ায় আর মাঝে মাঝে মাটিতে চুমু খায় (সিজদা)।
উৎসাহ নিয়ে তিনি আল কুরআন খুলে একে একে পড়ে ফেললেন সূরা ফাতিহা, সূরা বাকারাহ… পড়তেই থাকলেন। পড়ছিলেন আর হৃদয়ে কি যেন নাড়া দিচ্ছিল। কুরআনের কথাগুলো কোন মানুষের রচনা হতে পারেনা। এতদিন ধর্ম নিয়ে উদিত হওয়া সংশয়গুলোর উত্তর যেন কুরআনে পেলেন। সত্য স্রষ্টার এত রুপ থাকতে পারে না। তার এক ও অদ্বিতীয় হবারই কথা। আর তার কোনো মাতাও থাকতে পারে না। এমনকি ইসলামে সরাসরি স্রষ্টার নিকটে সমস্ত পাপ স্বীকার করতে হয় এবং তার কাছেই ক্ষমা চাইতে হয়। কোন মাধ্যমের প্রয়োজন হয়না।
ছোটবেলা থেকে উদয় হওয়া সংশয়গুলোর পূর্ণ সমাধান তিনি কুরআনের মাধ্যমে পেলেন। খুঁজে পেলেন সত্য ধর্ম। পরবর্তীতে নির্দ্বিধায় পাঠ করলেন কালিমা শাহাদাহ। “আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা শারীকালাহু, ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহু।